
অনলাইন নিউজ ডেস্ক;+
ভারতীয় এয়ারলাইনসগুলোর জন্য পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ায় পশ্চিমমুখী আন্তর্জাতিক রুটে বড় ধরনের সংকটে পড়েছে ভারতীয় উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো। বিশেষ করে নয়াদিল্লি, লখনউ ও অমৃতসর থেকে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়া এবং উত্তর আমেরিকা অভিমুখী ফ্লাইটগুলোকে ঘুরপথে যেতে হচ্ছে, যার ফলে উড়তে সময় বাড়ছে, জ্বালানি খরচ বেড়েছে এবং বেড়েছে অপারেশনাল জটিলতাও। ২০১৯ সালের বালাকোট স্ট্রাইকের পর একইভাবে আকাশসীমা বন্ধ থাকার সময় ভারতীয় এয়ারলাইনসগুলো প্রায় ৭০০ কোটি রুপি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। এবারও তেমনই আর্থিক ক্ষতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিগো ইতিমধ্যে কিছু ফ্লাইটের সময় ১-২ ঘণ্টা বাড়িয়েছে, আবার কিছু ফ্লাইট বাতিলও করতে বাধ্য হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যেহেতু অন্যান্য দেশের এয়ারলাইনস পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে উড়তে পারবে, তাই তাদের তুলনায় ভারতীয় সংস্থাগুলো প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে। খরচ বাড়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের অবস্থান দুর্বল হতে পারে। এই পদক্ষেপের পেছনে রয়েছে কাশ্মীরের পেহেলগামে ২২ এপ্রিলের সশস্ত্র হামলা, যেখানে ২৬ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে একজন নেপালি নাগরিকও ছিলেন। ভারতের দাবি, এই হামলার পেছনে পাকিস্তানের মদদ রয়েছে। এর জবাবে নয়াদিল্লি একাধিক কড়া পদক্ষেপ নেয়। ভারতের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাকিস্তানের পানি সম্পদ সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, “সততার ভিত্তিতে চুক্তি রক্ষা একটি মৌলিক শর্ত, অথচ পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদ চালাচ্ছে। এই পদক্ষেপগুলোর জবাবে পাকিস্তানও কড়া প্রতিক্রিয়ায় এগিয়ে এসেছে। তারা শুধু আকাশসীমাই নয়, নয়াদিল্লির জন্য তাদের স্থল সীমানাও বন্ধ করে দিয়েছে। দুই দেশের এই চলমান উত্তেজনা কেবল কূটনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, সাধারণ যাত্রী ও বেসরকারি বিমান পরিবহন খাতেও প্রভাব ফেলছে। এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগো জানিয়েছে, তারা যাত্রীদের জন্য ফ্লেক্সিবল রিবুকিং এবং রিফান্ড সুবিধা চালু করেছে। পাশাপাশি পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে বিকল্প রুটের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে পূর্ণ আর্থিক প্রভাব জানতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্ট মহল।